নদীর এপাড় থেকে ওপাড় যাতায়াতে ভরসা দড়ি ! সেতুর আশায় দিন গুনছেন বাসিন্দারা

25th August 2020 8:11 am বর্ধমান
নদীর এপাড় থেকে ওপাড় যাতায়াতে ভরসা দড়ি ! সেতুর আশায় দিন গুনছেন বাসিন্দারা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মন্তেশ্বর ) : একদিকে মন্তেশ্বর অপরদিকে পূর্বস্থলী , মধ‍্যে প্রবাহিত খড়ি নদী । পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সুটরা ঘাট থেকে অপরপাড়ে পূর্বস্থলীর ঘাগড়া ঘাটে নেমে কৃষ্ণনগর বা নবদ্বীপ যাতায়াত করেন বহু মানুষ । বছরের পর বছর ধরে নৌকায় নদী পাড় হয়েই চলছে যাতায়াত । খড়ি নদীতে নৌকা চলাচলের ভরসা দড়ি । নদীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত অবধি বাঁধা রয়েছে রশা দড়ি । এই দড়ি ধরেই নৌকা এগিয়ে চলে এপাড় থেকে ওপাড় পর্যন্ত । নৌকায় সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে সাইকেল মটোরবাইক বা পন‍্য সামগ্ৰী নিয়েও আসা যাওয়া করেন উভয় এলাকার বাসিন্দারা । একটি নয় দুটি নৌকার উপর তৈরী করা হয়েছে বাঁশের মাচা । সেই বাঁশের মাচার উপরেই স ওয়ার হন যাত্রীরা । সুটরা , কাইগ্ৰাম , কোড়াপুর , ঘাগড়া , খাসপুর , কদমতলা , গোকর্ন , মিনাপুর , ভুতুরিয়া , বকপুর সহ একাধিক এলাকার মানুষের আসা যাওয়া এই নদী পেড়িয়ে । বর্ষার মরশুমে আরো জল বেড়েছে খড়ি নদীতে । সেই অবস্থাতেও এক ই ভাবে আসা যাওয়া করছেন শয়ে শয়ে মানুষ প্রতিদিন । প্রশাসনের কাছে সেতু তৈরীর আবেদন রয়েছে স্থানীয়দের বহু বছর ধরে । মামুদপুর ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান তিনি জানিয়েছেন , উচ্চ কতৃপক্ষের কাছে জানানো আছে বিষয়টি । মাঝে মধ‍্যে নৌকায় যে বাঁশ ব‍্যবহার হয় তা পরিবর্তন করে দেওয়ার জন‍্য পঞ্চায়েত উদ‍্যোগ গ্ৰহণ করে । সেতু হলে তবেই সমস‍্যার সমাধান তা জানিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান । যদিও কবে ? সে বিষয়ে সকলেই অনিশ্চিত । আগামী বছর রাজ‍্যে বিধানসভা ভোট । এখানকার মানুষের সবথেকে বড় দাবী স্থায়ী সেতু র । তা আবার ও উঠে আসবে হয়তো আগের মতোই । সমাধান কি ভাবে ? আশায় দিন গুনছেন উভয় এলাকার মানুষজন । এই খড়ি নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে আমুল বদলে যাবে এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা । স্কুল , কলেজের পড়ুয়া সহ বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত মানুষজন বিপদ হাতে যেভাবে প্রতিদিন যাতায়াত করেন তার অবসান চান সকলেই । নদী পথ ব‍্যবহার না করলে বহু রাস্তা ঘুর পথে যাতায়াত করতে হয় নবদ্বীপ বা কৃষ্ণনগর পৌঁছানোর জন‍্য । পূর্বস্থলীর বহু গ্ৰাম রয়েছে যা নদী পার করেই যাতায়াত সুবিধাজনক । দরকার সেতুর । দড়ি র ভরসা কবে কাটবে তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।